মো: হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা এম ইউ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ এএমএম মুহিববুল্লাহকে নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার নিজ কক্ষে স্থানীয় মনকান্দা গ্রামের বিক্ষুদ্ধ লোকজন কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এসময় স্থানীয় লোকজন অধ্যক্ষর
অপসারণ দাবিতে নানারকম স্লোগান দেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পুলিশের সহায়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে মাদরাসা ছাড়েন অধ্যক্ষ মুহিববুল্লাহ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী উসমান এবং মাদরাসার শিক্ষিকা পারভীন সুলতানাসহ মনকান্দা গ্রামের শতাধিক লোকজন জানান, অধ্যক্ষ মুহিববুল্লাহ তার ইচ্ছে মতো মাদরাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি কখন, কাকে নিয়ে কি করেন তা আমরা কেউ কিছু জানি না। মাদরাসাটিকে তিনি অনিয়ম-দুর্নীতিতে পরিণত করেছেন। আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই এবং অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করি।
শিক্ষিকা সুলতানা পারভীন বলেন, এখানে আমার চাকরি হয়েছে ১০-১২ বছর আগে। আমার চাকরি হওয়ার পর আমার বোনকে এখানে চাকরি দিতে অধ্যক্ষকে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। এরপর থেকে আমাকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন অধ্যক্ষ। একপর্যায়ে আমার বেতন বন্ধ করে দেন। একুশ মাস ধরে আমার বেতন বন্ধ রয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। কিন্তু মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে। আমার মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি গ্রামের লোকজনকে জানালে তারা অধ্যক্ষের কাছে যান। কিন্তু তিনি গ্রামের লোকজনকেও অপমান করেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এএমএম মুহিববুল্লাহ বলেন, আমি কোনো রকম অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মাদরাসার ভবন নির্মাণের জন্য ৫৮ শতাংশ জায়গা স্থানীয় একজনের সাথে এওয়াজ বদল করেছি। আর শিক্ষিকা সুলতানা পারভীনকে মাদরাসায় আসার জন্য নোটিশ করেছি। কিন্তু তিনি আসেন না। মাদরাসায় না এলে তো বেতন বন্ধ থাকবেই।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অধ্যক্ষকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর সাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করবেন এমন আলোচনা হয়েছে।