Monday, April 29, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যতিন দিনের সন্তান নিয়ে এস এস সি পরীক্ষায় বৃষ্টি

তিন দিনের সন্তান নিয়ে এস এস সি পরীক্ষায় বৃষ্টি

প্রান্ত সাহা বিভাস, কলমাকান্দা

তিন দিনের শিশু সন্তান নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বৃষ্টি আক্তার (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী। রোববার কলমাকান্দা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বৃষ্টি পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের সময় তার শিশু সন্তানকে বাহিরে এক আত্মীয়ের নিকট রেখে যায়। দুই ঘণ্টা পরীক্ষা শেষে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ রয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত দেড় বছর আগে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট এলাকার মো. শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে কলমাকান্দার বৃষ্টি আক্তারের বিয়ে হয়। এদিকে অন্তঃসত্তা হয় বৃষ্টি। এর মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারী এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। ওই অবস্থায় তার বাবার বাড়ি কলমাকান্দা সদরের ঘোষপাড়া এলাকায় বাবা মো. বজলুর রহমানের বাড়ি চলে আসে।সেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষা শেষে বিকেলে প্রসববেদনা উঠলে তাকে নেত্রকোনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা। সেখানেই বৃষ্টি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়।

কলমাকান্দা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব আবুল কালাম মোহাম্মদ এমদাদুর রহমান বলেন, বৃষ্টি কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী। রোববার ছিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে সে তার তিন দিনের শিশু সন্তান নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসে। পরে মানবিক কারণে পরীক্ষার সমস্ত নিয়ম মেনে শিশুটির নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রে একটি মেডিকেল টিম রয়েছে। পরীক্ষার দুই ঘণ্টা পর বৃষ্টি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে মেডিকেল টিমের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। অপ্রাপ্ত অবস্থায় বৃষ্টির বিয়ে নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোপনে হয়তো তার পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়টি তার জানা নেই। আজকেই তিনি এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন।

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সৌরভ ঘোষ জানান, তাদের হাসপাতালে বৃষ্টি এবং বাচ্চা সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি তার সিজারে সন্তান হয়েছে। শারিরীক দুর্বলতা একটা তো ছিলোই। তার উপর পরীক্ষা নিয়ে হয়তো মানসিক টেনশনে ছিলো যে কারণে অসুস্থ হয়।

আমরা যত্নের সাথে নিবিড় পরিচর্যা করে যাচ্ছি। তারা দুজনই এখন সুস্থ সবল রয়েছে। তাকে একটি আলাদা কক্ষ দেয়া হয়েছে। যাতে সে পড়াশোনা করতে পারে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments