Monday, May 6, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদদূর্গাপুর উপজেলানেত্রকোনায় কমছে সোমেশ্বরী পানি

নেত্রকোনায় কমছে সোমেশ্বরী পানি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কমতে শুরু করেছে পাহাড়ি কন্য খরস্রোতা সোমেশ্বরী নদীর পানি। নতুন করে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল না আসায় নদীর পানি কমে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরের শিবগঞ্জ, কুলাউড়াা, ভবানীপুর সহ কয়েকটি গ্রামের নিন্ম আয়ের মানুষেরা। গেল কয়েকদিনে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়তে থাকে সোমেশ্বরী নদীর পানি। নদীর বিজয়পুর, তেরিবাজার ও বিরিশিরি পয়েন্টে রবিবার পর্যন্ত পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়েছিলো। এদিকে পাহাড়ি ডলে তলিয়ে যাওয়া কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত গ্রামের নিন্মাঞ্চলগুলো থেকেও পানি সরতে শুরু করেছে।

মূলত নেত্রকোনা জেলার পাহাড়ি সীমান্ত দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তে অল্প পাহাড়ি ঢলে যেমন পানি উপছে গ্রামে ওঠে পড়ে তেমনি ঢল না থাকলে আবার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে পানি নেমে যায় বলে জানায় ওই অঞ্চলের স্থানীয়রা।

তারা বলেন এটি এই এলাকার ধরণ। তবে ঢল অব্যাহত থাকলে এসব এলাকায় দুর্ভোগের সীমা তাকে না। এখন পানি নেমে গেলেও এবছর ধান কাটা নিয়ে তারা বিপাকে রয়েছেন বলে জানান আদিবাসী সম্প্রদায়সহ বেশ কিছু বাঙ্গালী।

স্থানীয়রা আরও জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বাড়তে শুরু করে নদীর পানি। বিশেষ করে রাতে মেঘালয়ের পাহাড় গুলোতে ঝড় সহ ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাব ছিলো গেল কয়েকদিন ধরেই।

দিনে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও রাতে পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবেই উজান থেকে নেমে আসা পানিতে অকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এদিকে সোমেশ^রী নদীতে পানি বাড়লেও থেমে নেই অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে তখন বাংলা ড্রেজার বসিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার পাশ দিয়ে বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে বালুখেকোরা। প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বালু উত্তোলনের এই ধ্বংস রাজ্য। যে কারণে নদী পাড়ের ভুক্তভোগীদের পানি কমলেও ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments