নেত্রকোনা সদরে মজা খাওয়াবার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয়রা পঞ্চাষোর্ধ এক ব্যক্তিকে আটক করে উত্তমধ্যম দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের চল্লিশাকান্দা জনতার হাত থেকে আবেদ আলী (৫৫) কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অন্যদিকে শিশুটিকে পরিবারের লোকজন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তদন্ত সোহেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে শিশুর বাবার বরাত দিয়ে বলেন শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য বাবা মা শিশুটিকে বাড়ির অদূরে টিউবওয়েলে পাঠায় পানি আনতে। এ সময় একই এলাকার সাবেদ আলীর পঞ্চাষোর্ধ ছেলে আবেদ আলী মজা দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিংয়ের ভেতর নিয়ে যায়।
পরে ধর্ষন চেষ্টা চালালে শিশুটি ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করলে আবেদ আলী শিশুকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি বাড়ি এসে শ্রমিক বাবা মাকে বললে এবং অসুস্থ বোধ করলে তারা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এসময় স্থানীয়রা ঘটনা জানলে ক্ষুব্ধ হয়ে আবেদ আলীকে বাড়ি থেকে ধরে এনে এলাকার শত শত মানুষ মারধর করে।
তাদের হাত থেকে ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন উত্তেজিত এলাকাবাসীর হাত থেকে আবেদ আলীকে সরিয়ে একটি দোকানে রেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ওই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যায়। শিশুর বাবা জানান, তিনি কাজ করেন তা স্ত্রীও মানুষের বাড়িতে কাজ করেন।
শিশুটির সাথে এমন ঘটনা শুনে এবং তাৎক্ষণিক দেখে এলাকার মানুষই ধরে নিয়ে মারধর করে পুলিশে দেয়।
এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত সোহেল রানা আরও জানান, শতাধিক এলাকাবাসী বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেছে। আমরা তাকে আটক করেছি। শিশুর অভিভাবক মামলা দিলে সে অনুযায়ী তাকে কোর্টে সোপর্দ করা হবে।