Monday, May 6, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদখালিয়াজুরী উপজেলাহাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে মুখে গামছা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা

হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে মুখে গামছা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা

হাওরাঞ্চল নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় মুখে গামছা বেঁধে এক গৃহবধুকে (৩৫) ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিন জনকে আসামী করে ঘটনার তিন দিনের দিনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু নিজেই।

ঘটনাটি ঘটেছে উপেজলার নগর ইউনিয়নের কুশালপুর গ্রামে। ওই গ্রামের ব্যবসায়ী সুধীর তরফদারের (৪০) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগটি উঠেছে। এর আগে গত সোমবার (৭ মার্চ ) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নগর ইউনিয়নের কুশালপুর গ্রামের জনৈক দিনমজুর তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলে যান।

এই সুযোগে গত সোমবার রাতে অনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটে গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে ঘর হতে বের হয়ে পূনরায় ঘরের ভেতরে এসে দরজা বন্ধ করার সময় তিনজন ব্যক্তি দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই গৃহবধূর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ঘরের মেজেতে ফেলে তাকে ঝাপটে ধরে।

অন্য দুজন প্রাণনাথ সরকার (৪০) ও বাবুল সরকার (৪২) বাহিরে অপেক্ষা করে। তখন গৃহবধূ চিৎকার করার চেষ্টা করলে সুধীর তরফদার তার মুখ চেপে ধরে রাখে।

এমন সময় তার পা লেগে হাঁড়িপাতিল পড়ে শব্দ হলে তার ১১ বছরের ছেলের ঘুম ভেঙে যায় এবং ধর্ষককে দেখে চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে গৃহবধুর স্বামী বাড়ি আসলে বিষয়টি গ্রামের সকলের গোচরে এনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে খালিয়াজুরী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মহর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত-২০২০ এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রাথমিকভাবে ধারণা করি এ ঘটনা সত্য।

এ বিষয়ে খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, ভিক্টিম থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

এদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সুধীর তরফদার কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। স্বামী ঢাকায় কাজ করার কারণে প্রায়শই বলতো তাকে আদর যত্ন করার কথা। এতে আর্থিকভাবে সহায়তা করবে বলে টোপ ফেলতো। এগুলোতে সাঁয় না দেয়ায় খালি বাড়ি পেয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি আমার সন্তানের কাছে লজ্জা পেয়েছি। সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments