নেত্রকোনার কেন্দুয়ায শাকিব জাহান হত্যা মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ এর কিশোরগঞ্জ। রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মোঃ আশরাফুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কেন্দুয়ার মনকান্দা গ্রামের শাকিব জাহান বিকাশ কোম্পানিতে কালেশনের কাজ করেতন। টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে আটকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই করে। এরপর চিকিৎসাদীন অবস্থায় শাকিবের মৃত্যু হয়। পরে নিহতের বাবার করা হত্যা মামলার আসামী স্বপন মিয়াকে (২১) র্যাব-১৪,সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১১, নরসিংদী ক্যাম্পের যৌথাভিযানে শনিবার নরসিংদীর মাধবদী থানার বিরামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে। আসামী স্বপন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ঈশ^রগঞ্জ থানার মধুপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে।
র্যাব আরও জানানয়, গত বছরের অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ রাতে ১১ টার দিকে শাকিব জাহান বন্ধু নাঈমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বিকাশ কোম্পানীর উত্তোলিত ৩ লক্ষ টাকাসহ নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পুর্বপরিকল্পিতভাবে পথে আসামী স্বপন মিয়া (২১) অন্যদেনরসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শাকিবের পথরোধ করে। সাথে থাকা নাঈমকে আটকে রেখে শাকিববে কুপিয়ে জখম করে ৩ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আশপাশের মানুষ ও আত্মীয়রা এসে শাকিবকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে ৯ দিন পর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ শান্তু মিয়া বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে এবং থানায় মামলা হওয়ার পর এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে পলাতক থাকা এজাহারনামীয় ৫ নং আসামীর অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকেৃতকে কেন্দুয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।