পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে বন্যা কবলিত নেত্রকোনা জেলার পানি বন্দী মানুষেরা পাচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের শুকনো খাবার। এই মুহুর্তে চাল, ডাল, মুড়ির এই শুকনো খাবার এক একজন পানি বন্দী মানুষের জন্য হয়ে পড়েছে আশীবর্দ সরূপ। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এই বিতরণ কার্যক্রম চালিয়েছেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় নৌকা করে গিয়ে দিয়ে আসছেন।
জেলার বন্যা দুর্গত এলাকার মধ্যে দুর্গাপুরে এক হাজার প্যাকেট ও বারহাট্টা উপজেলায় পাঁচশত প্যাকেট ত্রাণ বানভাসিদের মাঝে নৌকায় করে পৌছে দিয়ে আসেন। শনিবার বিকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
জেলার বারহাট্টা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, উপজেলার বন্যা কবলিত আসমা ইউনিয়নের ওজানগাও, মনাস, র্ইামাধব, চিরাম ইউনিয়নের তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, চিরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার হিড়রা জনগোষ্ঠীর মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাইনুল হক কাশেম, আসমা ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম খান ছন্দু, চিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী, বারহাট্টা উপজেলার কালের কন্ঠের প্রতিনিধি ফেরদৌস বাবুল সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান জানান, উপজেলার গাওকান্দিয়া পুরোটা ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ৫শত প্যাকেট শুধু ওই এলাকাতেই দেয়া হয়। এসময় দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা উপস্থিত ছিলেন। বাকিগুলো পানিবন্দী সদরসহ বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা হয়েছে। মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় নৌকা নিয়ে তাদের কাছে এসকল ত্রাণ দিয়ে আসা হয়।
এছাড়াও পূর্বধলা পাঁচশত ও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কলমাকন্দায় এক হাজার প্যাকেট বিতরণ করা হবে। এর আগে জেলা সদরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ দুই হাজার প্যাকেট বিতরণ উদ্বোধন করেছিলেন। সর্বমোট জেলা প্রশাসন ৫ উপজেলায় ৫ হাজার এবং পুলিশ প্রশাসনকে বাকী ৫ উপজেলার জন্য ৫ হাজার প্যাকেট দেয়া হয়। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের কাজে লাগছে। প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে ত্রাণগুলো দেয়া হবে। রবিবার (১৯ জুন পর্যন্ত) জেলা প্রশাসনের ৫ হাজার প্যাকেটের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।